Header Ads

Header ADS

১৯৬৬ পর এবারও ইংল্যান্ডের বড় কোন শিরোপা জয় হলো না, ইউরো কাপ ইতালির

 

ট্রফি হাতে ইতালি দল

ইউরো কাপের আগে থেকেই সে দেশের সমর্থকরা গাইতে শুরু করেছিলেন, ‘ইটস কামিং হোম অর্থাৎ কাপ ঘরে আসছে। কিন্তু বারও হলো না ইংল্যান্ডের। ট্রফি ’হোম’ নয় যাচ্ছে রোমে। টাইব্রেকারে হেরে গেল আবারও। গোলকিপার জিয়ানলুইগি দোনারুমার জোড়া সেভে ইটালি জিতল - ব্যবধানে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে খেলা ১-১ এ ড্র ছিল। ইউরোতে ইতালির এটি দ্বিতীয় শিরোপা। ইতালি এর আগের শিরোপাটি জিতেছিল ১৯৬৮ সালে নিজের মাটিতে।

১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে ইউরোর ইতিহাসে দ্রুততম গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন লিউক শ। আক্রমণ শুরু হয়েছিল লিউক -কে দিয়ে। সেখান থেকে বল যায় ডান দিকে থাকা কিয়েরান ট্রিপিয়ারের কাছে। ট্রিপিয়ারের বক্সের মধ্যে ক্রস ভাসানোর সময় সম্পূর্ণ ফাঁকা যায়গায় ছিলেন শ। চলতি বলেই বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান

ম্যাচে ওই একবারই ইতালির রক্ষণে ফাঁক দেখা যায়। এরপর সে ভাবে ইংল্যান্ডকে আক্রমণেই সুযোগ দেয়নি তারা। বরং ইতালিই একের পর এক আক্রমণ করে ইংল্যান্ডের গোল মুখে। বলের নিয়ন্ত্রণও ছিল তাদেরই পায়ে। প্রথমার্ধে ডান দিক থেকে দুর্দান্ত এক আক্রমণ করে ইংল্যান্ডের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ফেদেরিকো কিয়েসা বাঁ পায়ে যে শট নেন তা অল্পের জন্য বাইরে যায়

দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় আধিপত্য বজায় রাখে ইতালি। ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরান লিয়োনার্দো বোনুচ্চি। এরপর দুদলই সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল হয়নি

পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডের মার্কাস র‌্যাশফোর্ড, জ্যাডন স্যাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকা গোল করতে ব্যর্থ হন। ইতালির হয়ে ব্যার্থ হন  আন্দ্রেয়া বেলোত্তি এবং জর্জিনহো। গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোনারুমার জোড়া সেভে কাপ জিতে নেই ইতালি, অপর শটটি সাইডবারে লাগেইংল্যান্ডের গোলরক্ষও দুটি শট সেভ করেন।

টাইব্রেকারে ইতালির হয়ে গোল করেন ডমিনিকো বেকার্দি, লিওনার্দো বোনচ্চি ও ফ্রেদরিকো বার্নারদেশি, আর ব্যর্থ হন আন্দ্রে বেলোত্তি ও জর্জিনহো। ইংল্যান্ডের হয়ে হ্যারি কেন এবং হ্যারি ম্যাগুয়ের শুরুতে জোড়া গোল করেন তবে পরের তিনটিতেই মিস করেন মার্কাস র‌্যাশফোর্ড, বুকায় সাকা এবং জ্যাডন স্যানচো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.