বিশ্বকাপ ফুটবল গোল্ডেন বুট পুরস্কার
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট বা গোল্ডেন শ্যু পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।
প্রতিটি বিশ্বকাপে গোলদাতাদের একটি র্যাঙ্কিং থাকলেও প্রথম ১৯৮২ সালে ”গোল্ডেন শ্যু” নামে পুরষ্কার দেওয়া হয়।২০১০ সালে এটিকে ”গোল্ডেন বুট” নামকরণ করা হয়েছে।
প্রতিটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট পুরস্কার দেওয়া
হয়। তবে যদি একাধিক খেলোয়াড় সমান সংখ্যক গোল করে থাকে তাহলে ১৯৯৪ সালে করা নিয়মানুযায়ি তাদের মধ্যে যে খেলোয়াড় পেনাল্টি থেকে কম গোল করেছেন
তিনি গোল্ডেন বুট পুরস্কার পাবেন, তালিকাটিতে যদি এরপরও
একাধিক খেলোয়াড় যদি গোল্ডেন বুট পুরস্কারের দাবিদার থাকে তবে সবচেয়ে বেশি গোলে
যিনি সহায়তা করেছেন তিনি তা পাবেন। ফিফা টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে কোন গোলে
কে সহায়তা করেছেন।যদি এরপরও একাধিক খেলোয়াড়ের গোল সংখ্যা সমান থাকে তবে ২০০৬ সালে করা নিয়মানুযায়ি যিনি তাদের মধ্যে কম সময় খেলেছেন তিনি গোল্ডেন বুট পুরস্কার পাবেন।
দেখুনঃ প্রতিটি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা
বিশ্বকাপ |
সর্বোচ্চ গোলদাতা |
গোল |
রানার-আপ |
গোল |
তৃতীয় স্থান |
গোল |
|||
১৯৩০ উরুগুয়ে |
গুইলারমো স্ট্যাবিল |
৮ |
পেদ্রো সিয়া (উরুগুয়ে) |
৫ |
বার্ট পেটেনাউডে (যুক্তরাষ্ট্র) |
৪ |
|||
১৯৩৪ ইতালি |
ওলড্রিচ নেজেদলি (চেকোশ্লোভাকিয়া) |
৫[ক] |
এডমাইন্ড কোনেন (জার্মানি) |
৪ |
নেই |
— |
|||
১৯৩৮ ফ্রান্স |
লিওনিদাস (ব্রাজিল) |
৭[খ] |
গিয়র্গি সারোসি (বুলগেরিয়া) |
৫ |
নেই |
- |
|||
১৯৫০ ব্রাজিল |
এদেমির (ব্রাজিল) |
৮[গ] |
অস্কার মিগুয়েজ(উরুগুয়ে) |
৫ |
অ্যালসিডেস ঘিঘিয়া (উরুগুয়ে) |
৪ |
|||
১৯৫৪ সুইজারল্যান্ড |
স্যান্ডর কোচিস (হাঙ্গেরি) |
১১ |
জোসেফ হুগি (সুইজারল্যান্ড) |
৬ |
নেই |
— |
|||
১৯৫৮ সুইডেন |
জুস্ত ফোঁতেন (ফ্রান্স) |
১৩ |
পেলে (ব্রাজিল) |
৬ |
নেই |
— |
|||
১৯৬২ চিলি |
ফ্লোরিয়ান অ্যালবার্ট (হাঙ্গেরি) |
৪ |
নেই |
— |
নেই |
— |
|||
১৯৬৬ ইংল্যান্ড |
ইউসেবিও (পর্তুগাল) |
৯ |
হেলমুট হ্যালার (জার্মানি) |
৬ |
ভ্যালেরি পোরকুজান (সোভিয়েত ইউনিয়ন) |
৪ |
|||
১৯৭০ মেক্সিকো |
গের্ড মুলার (জার্মানি) |
১০ |
জারজিনহো (ব্রাজিল) |
৭ |
তেওফিলো কিউবিলাস (পেরু) |
৫ |
|||
১৯৭৪ পশ্চিম জার্মানি |
গ্রেজেগোর্জ লাতো (পোল্যান্ড) |
৭ |
আন্দ্রেজ সারমাচ (পোল্যান্ড) |
৫
৫ |
নেই |
— |
|||
১৯৭৮ আর্জেন্টিনা |
মারিও কেম্পেস (আর্জেন্টিনা) |
৬ |
তেওফিলো কিউবিলাস (পেরু) |
রব রেনসেনব্রিঙ্ক (নেদারল্যান্ডস) |
৫ |
||||
গোল্ডেন শ্যু |
|||||||||
বিশ্বকাপ |
গোল্ডেন শ্যু |
গোল |
সিলভার শ্যু |
গোল |
ব্রোঞ্জ শ্যু |
গোল |
|||
১৯৮২ স্পেন |
পাওলো রসি (ইতালি) |
৬ |
কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে (পশ্চিম জার্মানি) |
৫ |
জিকো (ব্রাজিল) |
৪ |
|||
১৯৮৬ মেক্সিকো |
গ্যারি লিনেকার (ইংল্যান্ড) |
৬ |
এমিলিও বুত্রাগুয়েনো (স্পেন) |
৫ |
নেই |
— |
|||
১৯৯০ ইতালি |
সালভাতোর সিলাচি (ইতালি) |
৬ |
থমাস স্কুরেভি (চেকোশ্লোভাকিয়া) |
৫ |
রজার মিলা (ক্যামেরুন) |
৪ |
|||
১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র |
ওলেগ সালেঙ্কো (রাশিয়া)[ঘ] |
৬ |
নেই |
— |
কেনেত এন্ডারসন (সুইডেন) |
৫[চ] |
|||
১৯৯৮ ফ্রান্স |
ড্যাভর সুকের (ক্রোয়েশিয়া) |
৬ |
গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (আর্জেন্টিনা) |
৫ |
নেই[ছ] |
|
|||
২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান |
রোনালদো (ব্রাজিল) |
৮[জ][ঝ] |
মিরোস্লাভ ক্লোসে (জার্মানি) |
৫ |
|
||||
২০০৬ জার্মানি |
মিরোস্লাভ ক্লোসে (জার্মানি) |
৫ |
হার্নান ক্রেসপো (আর্জেন্টিনা) |
৩[ঞ] |
রোনালদো (ব্রাজিল) |
৩[ঞ] |
|||
গোল্ডেন বুট |
|||||||||
বিশ্বকাপ |
গোল্ডেন বুট |
গোল |
সিলভার বুট |
গোল |
ব্রোঞ্জ বুট |
গোল |
|||
২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা |
থমাস মুলার (জার্মানি) |
৫[ট] |
ডেভিড ভিলা (স্পেন) |
৫[ট] |
ওয়েসলি স্নেজদার (নেদারল্যান্ডস) |
৫[ট] |
|||
২০১৪ ব্রাজিল |
জেমস রডরিগুয়েজ (কলম্বিয়া) |
৬ |
থমাস মুলার (জার্মানি) |
৫ |
নেইমার (ব্রাজিল) |
৪[ঠ] |
|||
২০১৮ রাশিয়া |
হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড) |
৬ |
এন্তোনি গ্রিজমান (ফ্রান্স) |
৪[ড] |
রোমেলু লুকাকু (বেলজিয়াম) |
৪[ড] |
|||
২০২৪
কাতার |
কাইলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স) |
৮ |
লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা) |
৭ |
অলিভিয়ার জিরুড (ফান্স) |
৪ |
|||
টীকা |
ক.
^ ফিফা প্রাথমিকভাবে নেজেদলিকে
চার গোলের
কৃতিত্ব দিয়েছিল,
ফলে তিনি
ইতালির অ্যাঞ্জেলো
শিয়াভিও এবং
জার্মানির এডমন্ড
কোনেনের সাথে
যৌথভাবে শীর্ষ
গোলদাতা ছিলেন।
তবে ফিফা
২০০৬ সালের
নভেম্বরে এটিকে
পাঁচটি গোলে
পরিবর্তন করে,
ফলে নেজেদলি
এককভাবে সর্বোচ্চ
গোলদাতায় পরিণত
হন। খ.
^ ফিফা প্রাথমিকভাবে লিনিডাসকে
আট গোলের
কৃতিত্ব দেয়।
তবে ২০০৬
সালের নভেম্বরে
ফিফা নিশ্চিত
করে যে
চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে
কোয়ার্টার ফাইনাল
ম্যাচে তিনি
একটি গোল
করেছিলেন, ফিফা
মূলত দুটি
গোল রেকর্ড
করেনি, অর্থাৎ
তিনি মোট
সাতটি গোল
করেছিলেন। গ.
^ ফাইনাল রাউন্ডে
ব্রাজিল বনাম
স্পেনের (৬-১) ম্যাচ সম্পর্কিত
অসম্পূর্ণ তথ্যের
ফলস্বরূপ ১৯৫০
সালে ব্রাজিলের
এদেমির কত
সংখ্যক গোল
করেছিলেন তা
নিয়ে বিতর্ক
ছিল। ব্রাজিলের পঞ্চম
গোলটির কৃতিত্ব
জায়েরকে দেওয়া
হয়েছিল তবে
এখন তা
এদেমিরকে দেওয়া
হয়। ঘ.
^ গ্রুপ পর্ব
থেকে বিদায়
নেওয়া দলের
হয়ে খেলে
গোল্ডেন বুট
পুরস্কার অর্জনকারী
একমাত্র খেলোয়াড়
হলেন সালেঙ্কো। তিনি তার ক্যারিয়ারে
এই ছয়টি
মাত্র আন্তর্জাতিক গোলই করেছেন। ঙ.
^ সহায়তার হিসাব
করা সত্ত্বেও
সালেঙ্কো এবং
স্টোইচকভ ছয়টি
গোল এবং
একটি করে
গোলে সহায়তা
নিয়ে একই
সারিতে থাকেন
ফলে দু'জনই গোল্ডেন বুট
অর্জন করেন। চ.
^ রোমেরিও এবং
অ্যান্ডারসন উভয়েই
পাঁচটি করে
গোল এবং
তিন গোলে
সহায়তাকারি নিয়ে
অন্য দুজন
খেলোয়াড় (জার্গেন
ক্লিনসমান এবং
রবার্তো ব্যাজিও)
থেকে এগিয়ে
থাকেন। ছ.
^ উভয় রানার-আপের
সমান সংখ্যক
গোলে সহায়তা
ছিল এবং
প্রত্যেকে সিলভার
বুট অর্জন
করেন। জ.
^ টুর্নামেন্ট চলাকালে
কোস্টারিকার বিপক্ষে
গ্রুপ পর্বের
ম্যাচের পরে
রোনালদো একটি
গোল আত্মঘাতি
গোল হিসাবে
যোগ করার
বিরুদ্ধে আপত্তি
করেন এবং
ফিফা তা
পরিবর্তন করে। ঝ.
^ ক্লোসে অবশ্য
গ্রুপ পর্বের
সর্বোচ্চ গোলদাতা
ছিলেন, কারণ
রোনালদো এবং
রিভালদো যথাক্রমে
রাউন্ড অব
১৬ ও
কোয়ার্টার ফাইনালে
তাদের পঞ্চম
গোল করেছিলেন। ঞ.
^ আটজন খেলোয়াড়
তিনটি করে
গোল করেছিলেন।
রোনালদো, ক্রেসপো
এবং জিনেদিন
জিদান এক
গোলে সহায়তার
জন্য বিবেচনায়
থাকেন এবং
এরপর খেলার
সময়কাল (ক্রেসপোর
৩০৮ মিনিট,
রোনালদোর ৪১১
মিনিট, জিদান
৫৫৯ মিনিট)
হিসাব করে
নির্ধারণ করা
হয়। ট.
^ মুলার, ভিলা,
স্নেজদার এবং
দিয়েগো ফোরলান
পাঁচটি করে
গোল করেন।
মুলার বাকিদের
(প্রত্যেকের একটি)
চেয়ে বেশি
সহায়তা (তিন)
থাকার কারণে
জিতেন। স্নেজদারের
চেয়ে কয়েক
মিনিট কম
খেলার কারণে
ভিলা সিলভার
বুট জিতেন
এবং ফোরলানের
চেয়ে কয়েক
মিনিট কম
খেলে স্নেজদার
ব্রোঞ্জ বুট
জিতেন। ঠ.
^ টুর্নামেন্টে নেইমার,
লিওনেল মেসি
এবং রবিন
ভ্যান পার্সির
তিনজনেই চারটি
গোল করেন।
নেইমার অন্যদের
তুলনায় কম
সময় খেলার
জন্য ব্রোঞ্জ
বুট অর্জন
করেন (নেইমার
৪৮০ মিনিট;
মেসি ৬৯৩
মিনিট এবং
ভ্যান পার্সি
৫৪৮ মিনিট
খেলেন)। ড. ^ গ্রিজম্যান, লুকাকু,
ডেনিস চেরিশেভ,
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
এবং কাইলিয়ান
এমবাপ্পে চারটি
করে গোল
করেন। দুটি
গোলে সহায়তা
থাকায় গ্রিজম্যান
অন্য দু'জনের থেকে এগিয়ে
থেকে সিলভার
বুট জিতেন
এবং একটি
গোলে সহায়তা
থাকায় লুকাকু
ব্রোঞ্জ বুট
পেয়েছিলেন। অন্যজনের
গোলে সহায়তা
শূন্য ছিল। |
কোন মন্তব্য নেই