বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২৬: এশিয়া অঞ্চলের (এএফসি) বাছাইপর্ব সম্পর্কে বিস্তারিত
এশিয়া অঞ্চলের জন্য বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে মোট ৮টি সরাসরি স্লট জন্য বরাদ্ধ রয়েছে, সেইসাথে ১টি আন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফ স্লট বরাদ্ধ রয়েছে।
বাছাইপর্ব মোট পাঁচ
রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে; প্রথম দুই পর্ব ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ধারণী
হিসেবেও কাজ করবে । এশিয়া থেকে বাছাইপর্বে মোট ৪৬টি দল খেলা সুযোগ লাভ করে। বাছাইপর্ব
চলবে ১২ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।
ফরম্যাট :
বাছাইপর্বের ফরম্যাট ১ আগস্ট ২০২২ ঘোষণা করা হয়, চূড়ান্ত পর্বে আটটি
সরাসরি স্লট এবং একটি প্লে-অফ স্লট বরাদ্দের সাথে মানানসই করার জন্য এটি সংশোধন করা
হয়েছিল:
এশিয়ার
বাছাইপর্ব মোট পাঁচ রাউন্ডে সম্পন্ন হবে।
প্রথম রাউন্ড: ২৭-৪৬ র্যাঙ্ক
এর ২০টি দল দুই লেগের হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলে। দশ বিজয়ী দল দ্বিতীয় রাউন্ডে
উন্নীত হয়। দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত দল দশটি হলো: আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর,
ইয়েমেন, মায়ানমার, পাকিস্তান, চীনা তাইপে, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও নেপাল।
দ্বিতীয় রাউন্ড: র্যাঙ্ক ১-২৬ এর ২৬ টি দল এবং প্রথম রাউন্ডের বিজয়ী দশটি দল সহ মোট
৩৬ টি দলকে নয়টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে চারটি করে দল রয়েছে। হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে
খেলবে। নয় গ্রুপের নয় বিজয়ী দল এবং ৯ গ্রুপ রানার্স আপ দল মোট ১৮টি দল তৃতীয় রাউন্ডে
যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
দ্বিতীয়
রাউন্ডের গ্রুপ সমূহ:
গ্রুপ
এ: কাতার, ভারত, কুয়েত, আফগানিস্তান
গ্রুপ
বি: জাপান, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, মায়ানমার
গ্রুপ
সি: দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর
গ্রুপ
ডি: ওমান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, চীনা তাইপে
গ্রুপ
ই: ইরান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, হংকং
গ্রুপ
এফ: ইরাক, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া
গ্রুপ
জি: সৌদি আরব, জর্ডান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান
গ্রুপ
এইচ: সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন, নেপাল
গ্রুপ
আই: অস্ট্রেলিয়া, প্যালেস্টাইন, লেবানন, বাংলাদেশ
***
দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর শুরু হয়েছে। ২য় রাউন্ডের খেলা শেষ হবে
২০২৪ সালের ১১ জুন।
তৃতীয় রাউন্ড: দ্বিতীয়
রাউন্ড থেকে উন্নীত ১৮ টি দলকে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে, প্রতিটি গ্রুপে ছয়টি
দল থাকবে। হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের
শীর্ষ দুই দল সরাসরি ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, তৃতীয়
এবং চতুর্থ স্থান লাভকারী দলগুলি চতুর্থ রাউন্ডে উন্নীত হবে।
চতুর্থ রাউন্ড: তৃতীয়
রাউন্ড থেকে প্রতিগ্রুপের তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান লাভ করা মোট ৬টি দলকে দুটি গ্রুপে
ভাগ করা হবে, প্রতিগ্রুপে তিনটি করে দল থাকবে। দলগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে একে অপরের
বিপক্ষে একবার করে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী দল বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে খেলার
যোগ্যতা অর্জন করবে এবং প্রতি গ্রুপের রানার্সআপ দলদুটি পঞ্চম রাউন্ডে উন্নীত হবে।
পঞ্চম রাউন্ড: চতুর্থ রাউন্ডের
গ্রুপ রানার্সআপ দলদুটি দুই লেগের হোম-এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলবে। বিজয়ী দল আন্তঃকনফেডারেশন
প্লে-অফে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবে। উল্লেখ উয়েফা বাদে বাকী পাঁচ কনফেডারেশন থেকে
পাঁচটি দল এবং বিশ্বকাপের স্বাগতিক কনফেডারেশন কনকাকাফ থেকে অতিরিক্ত একটি দল সহ মোট
৬ টি দল আন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফে খেলবে। এখান থেকে ২টি দল বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে
খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
কোন মন্তব্য নেই