Header Ads

Header ADS

২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: কোন কনফেডারেশন থেকে কতগুলো দেশ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলবে এবং বিভিন্ন কনফেডারেশনের বাছাইপর্বের ফরমেট কেমন

 

৭ সেপ্টেম্বর কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বের খেলা শুরুর মাধ্যমে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব শুরু হয়। ২০২৬ সালের মার্চে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফের মাধ্যমে বাছাইপর্ব শেষ হবে।

২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ৪৮ টি দল চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় খেলবে, ১৯ জুলাই ২০২৬-এ বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হবে ।

যেটি প্রথমবারের মতো তিনটি দেশ সহ-আয়োজক হবে। প্রতিযোগিতার ইতিহাস।

২০১৭ সালে ফিফা কাউন্সিল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে, কনফেডারেশন প্রতি স্লট বরাদ্দ নিম্নরূপ:

এএফসি : ৮.৫ স্লট (একটি দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলবে)

সিএএফ : ৯.৫ স্লট (একটি দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলবে)

কনকাকাফ : ৬.৫ স্লট (দুটি দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলবে)

কনমেবল : ৬.৫ স্লট (একটি দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলবে)

ওএফসি : ১.৫ স্লট (একটি দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলবে)

উয়েফা : ১৬ স্লট

কনফেডারেশন গুলোর ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাইপর্বের বিন্যাস

এএফসি

এএফসির বাছাইপর্বটি একই সাথে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপ এর জন্য যৌথ বাছাইপর্ব। প্রথম রাউন্ড, ২০২৩ সালের অক্টোবরে খেলা হবে। এএফসির ফিফা র‌্যাঙ্কিং এর সবার নীচের ২০ টি দল (এএফসি ২৭-৪৬ র‍্যাঙ্ক) দুই লেগের হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলবে। দশ বিজয়ী দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হবে।

দ্বিতীয় রাউন্ডটি নভেম্বর ২০২৩ থেকে জুন ২০২৪ এর মধ্যে খেলা হবে এবং চারটি দলের নয়টি গ্রুপ থাকবে, প্রতিটি গ্রুপে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী দলগুলি তৃতীয় রাউন্ডে যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় রাউন্ড। তিনটি গ্রুপ গঠিত হবে, প্রতি গ্রুপে ছয়টি দল থাকবে। প্রতিটি গ্রুপে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী দলগুলি সরাসরি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে এবং তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান অধিকারকারী দলগুলি এএফসি প্লে অফ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

প্লে অফের গ্রুপ পর্বটি অক্টোবর এবং নভেম্বর ২০২৫ এ একটি কেন্দ্রীভূত ভেন্যুতে খেলা হবে, ছয়টি দলকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে। প্রতি গ্রুপে তিনটি দল থাকবে। দুই গ্রুপের বিজয়ী সরাসরি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, আর প্রতিটি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল একক ম্যাচের প্লে অফ ম্যাচ খেলবে, বিজয়ী দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।

সিএএফ

১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে আইভরি কোস্টের আবিদজানে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। নভেম্বর ২০২৩ থেকে অক্টোবর ২০২৫ এর মধ্যে বাছাইপর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। একটি রাউন্ডের ম্যাচ খেলা হবে। এই কনফেডারেশনের সদস্য দলগুলিকে ছয় দলের নয়টি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে এবং বিজয়ীরা সরাসরি ফিফা ওয়ার্ল্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে। অপরদিকে চারটি সেরা দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দল ২০২৫ সালের নভেম্বরে প্লে অফ রাউন্ডে খেলবে। প্লে অফ ম্যাচগুলি একটি কেন্দ্রীভূত ভেন্যুতে এক লেগের সেমিফাইনাল খেলবে এবং বিজয়ীরা এক লেগের ফাইনালে খেলবে। ফাইনালের বিজয়ী দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলবে।

কনকাকাফ

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এর আয়োজক কানাডা, মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

উপরন্তু, FIFA/Coca Cola ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং-এ চারটি সর্বনিম্ন র‌্যাঙ্ক করা কনকাকাফ দল ২০২৪ সালের মার্চ মাসে দুটি হোম এবং অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে, প্রতিটি সিরিজের বিজয়ী দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে, এই পর্বের খেলা জুন ২০২৪ এবং জুন ২০২৫ এ খেলা হবে।

দ্বিতীয় রাউন্ডে পাঁচটি দলের ছয়টি গ্রুপ থাকবে, প্রতিটি গ্রুপের প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী দল চূড়ান্ত রাউন্ডে যাবে, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর ২০২৫ এ দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা হবে। চূড়ান্ত পর্বে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে উত্তীর্ণ ১২টি দলকে চারটি দলের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে, প্রতি গ্রুপের বিজয়ীরা সরাসরি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে এবং দুই সেরা দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে জায়গা করে নেবে।

কনমেবল

কনমেবল-এর সদস্য ১০ টি দল হোম এবং অ্যাওয়ে রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটের বাছাইপর্বে অংশ গ্রহণ করবে। বাছাইপর্ব ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। বাছাইপর্বের শীর্ষ ছয়টি দল সরাসরি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, আর সপ্তম স্থানে থাকা দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলবে।

১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ থেকে কনমেবল অঞ্চলের রাউন্ড রবিন লিগ বাছাইপর্বের ফর্ম্যাটটি বিদ্যমান রয়েছে৷

ওএফসি

প্রাথমিক প্রতিযোগিতা তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম স্টেজটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটি কেন্দ্রীভূত ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এবং ফিফা/কোকা কোলা ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং-এ চারটি সর্বনিম্ন OFC দলের মধ্যে একটি এক লেগের প্লে অফ সিরিজ হবে। প্রতিটি সিরিজের বিজয়ী দল ফাইনাল ম্যাচে যাবে, এবং ফাইনাল ম্যাচের বিজয়ী দ্বিতীয় স্টেজে খেলবে।

দ্বিতীয় স্টেজে আটটি দলকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে প্রতিটি গ্রুপে চারটি দল থাকবে, অক্টোবর এবং নভেম্বর ২০২৪-এ লিগ বিন্যাসে খেলা হবে, প্রতিটি গ্রুপের প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল তৃতীয় স্টেজে খেলবে।

তৃতীয় স্টেজের খেলা মার্চ ২০২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ক্যালেন্ডার উইন্ডোতে একটি কেন্দ্রীভূত ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। চারটি দল দুটি একক ম্যাচের সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বিজয়ি দলদুটি এক ম্যাচের ফাইনালে খেলবে। বিজয়ি  দলটি সরাসরি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে এবং রানার্স আপ হওয়া দলটি ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে খেলবে।

উয়েফা

গ্রুপ পর্বে চার বা পাঁচটি দলের ১২টি গ্রুপ গঠিত হবে এবং ২০২৫ সালের মার্চ থেকে নভেম্বরের মধ্যে হোম এবং অ্যাওয়ে রাউন্ড রবিন ম্যাচ খেলা হবে। ১২টি গ্রুপের বিজয়ী দল সরাসরি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে। ১২টি গ্রুপের রানার্স আপ এবং পাশাপাশি কোয়ালিফাইং গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ের বাইরে ২০২৪/২৫ উয়েফা নেশনস লিগের চারটি সেরা র‌্যাঙ্কযুক্ত দলসহ মোট ১৬টি দল ২০২৬ সালের মার্চে অনুষ্ঠিতব্য কনফেডারেশন স্তরের প্লে অফ স্টেজে খেলবে।

প্লে অফে এই ১৬ টি দলকে চারটি দলের চারটি প্লে অফ পাথে ড্র করা হবে। প্রতিটি দল একটি একক লেগের সেমিফাইনালে খেলবে, বিজয়ীরা একই আন্তর্জাতিক ম্যাচ ক্যালেন্ডার উইন্ডোতে একক লেগের ফাইনালে খেলবে। চার পথের বিজয়ী চারদল ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে।

আন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফ

ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ টুর্নামেন্ট ২০২৬ সালের মার্চ মাসে একটি কেন্দ্রীভূত ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এর শেষ দুটি দল নির্ধারণ করবে।

ফিফা বিশ্বকাপের শেষ দুটি বার্থ নির্ধারণের জন্য ছয়টি দলকে নিয়ে একটি প্লে-অফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে: এতে উয়েফা ব্যতীত প্রতি কনফেডারেশনের একটি দল এবং আয়োজক দেশগুলির কনফেডারেশন (কনকাকাফ) থেকে একটি অতিরিক্ত দল থাকবে।

দুটি দলকে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের উপর ভিত্তি করে বাছাই করা হবে, অপর চারটি অবাছাই দল দুটি নকআউট ম্যাচে অংশ নিবে। বাছাই করা দলদুটি এই দুটি নকআউট খেলার বিজয়ীদের বিরুদ্ধে খেলবে।

চার ম্যাচের এই টুর্নামেন্টটি এক বা একাধিক আয়োজক দেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং ফিফা বিশ্বকাপের আগে একটি টেস্ট ইভেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.